
ত্রিপুরার ভগ্নাংশ (বর্তমানে কুমিল্লা) বিভাগের সঙ্গে বৃহত্তর নোয়াখালীর জেলাগুলোকে যুক্ত না করে নোয়াখালীর স্বনামেই স্বতন্ত্র বিভাগ ঘোষণার দাবিতে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল উত্তাল হয়ে উঠেছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও উত্তর নোয়াখালীর সেনবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
দিবসের মূল বিক্ষোভটি শুরু হয় সেনবাগ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রধান সড়কে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বৃহত্তর এই আন্দোলনে জেলার বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবির পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন। তারা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীসহ আশপাশের জেলাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে স্বতন্ত্র নোয়াখালী বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান।
বক্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, ঢাকা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুমিল্লার সঙ্গে ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা, অথচ স্বয়ংসম্পূর্ণ জেলা নোয়াখালীর জনগণের অনুমতি ও গণশুনানি ছাড়াই বিভাগ ঘোষণা করা হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না নোয়াখালীবাসী। তারা মনে করেন, কুমিল্লা নয়, বরং ভৌগোলিক দূরত্ব এবং প্রশাসনিক সুবিধার দিক থেকে নোয়াখালীকেই নতুন বিভাগ ঘোষণার কেন্দ্র করা উচিত।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক সাইফুর রহমান রাসেল, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, উপজেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাও: আতা উল্যাহ, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সেনবাগ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এম. এ. আউয়াল, ভিপি মফিজুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মাও: নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম রুবেল, সমন্বয়ক শাহ জালাল, এবং মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা। তারা অবিলম্বে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।