বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন নোয়াখালী জেলা শাখার অফিস দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে বিএনপির নেতাকর্মিরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর শিল্পকলা এ্যাকাডেমি সংলগ্ন সড়কের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের বড় ভাই জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মোতালেব আপেলের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করে সাম্যবাদী দলের হামলার শিকার নেতৃবৃন্দ।
আহতরা হচ্ছেন, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ, সদস্য চৌধুরী, আমেনা বেগম, মো. সেলিম ও অভি চক্রবর্তী। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত অভি চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে সমবায় ব্যাংক মার্কেটে তাদের সাম্যবাদী আন্দোলনের অফিসে তালা দেয় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের বড় ভাই জেলা বিএনপির সদস্য আপেল ও তার লোকজন। তারপর থেকে তারা অফিসে যেতে পারছে না। এর প্রতিবাদে সোমবার ১০টা থেকে সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিরা নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন বিএনপি নেতা আপেলের লোকজন সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের লাঠির আঘাতে সাম্যবাদীর জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টুসহ অন্তত পক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। এক পর্যায়ে তারা সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের কাছ থেকে ব্যানার, পেস্টুন কেড়ে নিয়ে যায়। তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মোতালেব আপেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে দিন সাম্যবাদী দলের অফিসে তালা দেওয়া হয় তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। সকালে সাম্যবাদী দলের লোকজনের ওপর হামলা হয়। ওই সময় আমি ঘুমে ছিলাম। সমবায় অধিদপ্তরের একটি দোকান দখল করতে চাইছে। ওদের কোন কাগজপত্র নেই। সমবায়েরে লোকজন এটা বাধা দিছে। সেখানে কি হয়েছে, আমি কোনটাই দেখেনি, শুনেছি।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC