
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ এবং ইতিপূর্বে পরিষ্কার করা খাল ও ড্রেন পুনরায় ভরাট করার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
সোমবার (২৩ জুন) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলা এই অভিযানে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানিকে জরিমানা এবং সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পিডিবি, আনসার বাহিনী এবং থানা পুলিশের একটি টিম সহায়তা প্রদান করে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও নাগরিক স্বস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়:
১. মহাসড়কের পাশে সদ্য খনন করা স্বর্ণপালা খাল ও ড্রেন ভরাট করে টিভি, ফ্রিজের ভাঙা অংশ, পলিথিন, প্লাস্টিক, ছেঁড়া জুতা ইত্যাদি ফেলায় একটি স্ক্র্যাপ দোকান সিলগালা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দোকানদারকে নিজ হাতে সব আবর্জনা পরিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২. পচা আম রাস্তায় ফেলে পরিবেশ দূষণের দায়ে আম আড়তদারদের তাৎক্ষণিকভাবে নিজ হাতে তা পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয় এবং পৌর ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
৩. শত শত প্লাস্টিক বোতল ও আবর্জনা ড্রেনে ফেলার অপরাধে পাশের দোকানিদের দিয়ে সেই ড্রেন পরিষ্কার করানো হয়।
৪. জামে মসজিদ রোডের ‘রন্ধন রেস্টুরেন্ট’-এর ড্রেনে ও রাস্তার পাশে ফেলা ময়লা রেস্তোরাঁর কর্মীদের দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
৫. জনগণের চলাচলে বাধা দেওয়ায় একটি রেস্টুরেন্ট মালিককে রাস্তা দখল না করার মুচলেকা নেওয়া হয়।
৬. ওয়াপদা রোড ও উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে অবৈধ দখলকৃত স্থাপনাগুলো পুনরায় উচ্ছেদ করা হয়।
৭. দুইটি হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ফুটপাত দখলের অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অপরাধীদের শুধু শাস্তি নয়, যেন নিজেরাই কাজের দায় বুঝে সংশোধনের সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।