এপ্রিল ২৬, ২০২৫

শনিবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার/ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা এই হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।

নিহত মীর হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩১) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মনহর আলী পিয়ানো বাড়ির মৃত মমিনুল হকের ছেলে। তিনি রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এবং রাজগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিসানের রড-সিমেন্ট দোকান সোলেমান ট্রেডার্সের ম্যানেজার ছিলেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সওদাগরের বাড়ির পাশের নতুন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজেন্দ্রপুর নিজ গ্রাম থেকে সাদ্দাম নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তার পরিবার বিষয়টি মৌখিক ভাবে বেগমগঞ্জ পুলিশকে অবহিত করে।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সওদাগরের বাড়ির পাশের নতুন বাড়িতে আম কুড়াতে যায় কয়েকজন শিশু। সেখানে তারা একটি সেপটিং ট্যাংকের ভিতর পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় সাদ্দামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

পরে তাদের শৌরচিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর ও বেগমগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। নিহতের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন