
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার রহমান কেবল কণ্ঠশিল্পী নন, তিনি একজন অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ করছেন। পাশাপাশি নিজের গান নিজেই কম্পোজ ও সুর করেন তিনি। একটি গান তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকেন এই শিল্পী, যা অনেকের অজানাই থেকে যায়।
ভিন্ন ধারার গান, নিজস্ব মিউজিক্যাল আইডিয়া এবং নজরকাড়া ফ্যাশন স্টেটমেন্টের কারণে বরাবরই আলোচনায় থাকেন জেফার রহমান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি নিজের গানের নেপথ্যের কাজ, সৃজনশীল প্রক্রিয়া এবং একজন নারী শিল্পী হিসেবে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। একই সঙ্গে ভক্তদের কাছে নারী শিল্পীদের প্রতি আরও বেশি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান।
ভিডিও বার্তায় ভক্তদের উদ্দেশে আক্ষেপ প্রকাশ করে জেফার বলেন,
‘আমি আজকে অনেক বছর ধরে মিউজিকের সঙ্গে আছি। অনেকেরই ধারণা, আমি হয়তো সুন্দরভাবে রেডি হয়ে স্টেজ বা ভিডিওতে গান করি। মানে কণ্ঠশিল্পী আর কী—যেটা সম্পূর্ণ ঠিক। কারণ মানুষ হিসেবে আমরা পেছনে কতটা কাজ করি, সেটা তো আসলে নিজেরা প্রকাশ করি না। তাই আপনারা জানবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও জানান, গানের পেছনের কাজগুলো অনেক গভীর ও সময়সাপেক্ষ। জেফারের ভাষ্যে,
‘আমি সত্যিকারের অর্থে শুধু গান করি না। গান কম্পোজ করা থেকে শুরু করে পুরো গান বানানো, গানের প্রোডাকশন, লিরিক্সে বসা, আগেভাগে প্রি-প্ল্যান করা, মিউজিক ভিডিও কেমন হবে বা গানটি কোথায় যাবে—এই পুরো পরিকল্পনা এবং প্রতিটি ভিজ্যুয়ালাইজেশনের সঙ্গে আমি জড়িত থাকি।’
নিজের সৃষ্টিশীল ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অনেকেই জানেন না যে আমি শুধু কণ্ঠশিল্পী নই। আমি গান লিখি, গান সুর করি। আমার গানের প্রায় ৯০ শতাংশই আমার নিজের সুরে করা। মানে আমি নিজে সুর করি, নিজে গাই এবং লিরিক্সের সাথেও যুক্ত থাকি—কো-রাইট করি।’
নারী শিল্পীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিবন্ধকতার কথাও উঠে আসে তার বক্তব্যে। জেফার বলেন,
‘আমি বলব, প্লিজ আপনারা আর্টিস্টদের একটু সাপোর্ট করুন, বিশেষ করে ফিমেল আর্টিস্টদের। আমাদের সামাজিকভাবে অনেক ব্যারিয়ার ভেঙে কাজ করতে হয়। অনেক ধরনের বাউন্ডারি ফিল করি। তখন সত্যিই অনেক সময় ডিমোটিভেটেড হয়ে যাই।’









