বিদ্যাপীঠ শিক্ষার্থীর কাছে অতি আবেগ-ভালোবাসা ও সুখ-দুঃখের স্থান। সেখানে ছাত্রজীবনের হাজারো স্মৃতি জমা পড়ে। এমন একটি বিদ্যাপীঠ সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদরে অবস্থিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে এই বিদ্যালয়টি।
‘আলো আরো আলো’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আব্দুস সোবহানের পৃষ্ঠপোষকতায় বিদ্যালয়টি আলোর মুখ দেখে। বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় তাঁর সহধর্মিণী সাবেরা সোবহানের নামে। ওই অঞ্চলের শিক্ষা, সাহিত্য,সংস্কৃতির এক অম্লান ঐতিহ্যের সাক্ষী এই বিদ্যালয়। বিদ্যায়টি ৬ দশক ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে নীরবে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান শিক্ষার্থী প্রায় এক হাজার আটশত। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দিবা শিফটে ১২ টি শাখা ও প্রভাতী শিফটে ১০ টি শাখা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়ে ইউ আকৃতির একটি ভবন রয়েছে। যা ৩ তলা বিশিষ্ট । উন্মুক্ত খেলার মাঠ যা বিদ্যালয়ের প্রাণ কেন্দ্র। একটি ফুলের বাগান রয়েছে যা মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত। বাগানের পাশে রয়েছে একটি শহিদ মিনার।
বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ বছর ৩৩২ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ জন। শুধু একাডেমিক বিষয় নয় সহশিক্ষা কার্যক্রমে পিছিয়ে নেই বিদ্যালয়টি। জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকান্ডে সাবেরা সোবহান বিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান ভূইয়া বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থী আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে আমরা সেদিকে নজর দিয়ে থাকি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভালো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য যা যা প্রয়োজন সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। বিদ্যালয়টি ভবিষ্যতে আরো সফলতা অর্জন করবে। বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে সুনাগরিক হিসেবে দেশের উন্নয়নের কাজে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি আশা রাখি।’
লেখা: বুশরা আক্তার, শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।