ওয়েব এপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতার কারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব এপ্লিকেশন সমূহের যথাযথ তদারকিতেও অভাব দেখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।
আজ সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিটি বিভাগ জানায়, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব এপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তাদের টেকনিক্যাল টিমের সাথে তদন্ত পর্যালোচনা এবং অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয় যে, যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকায় তাদের ওয়েব এপ্লিকেশনসমূহ যথাযথভাবে তদারকির অভাব পরিলক্ষিত হয়।
এদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এর মধ্যে আছে ওয়েব এপ্লিকেশনের পূর্ণাঙ্গ ভালনারেবিলিটি এসেসমেন্ট অ্যান্ড পেনিট্রেশন টেস্ট (ভিএপিটি) প্রতিবেদন পাওয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক সকল ত্রুটি নিরসন করা, বিদ্যমান ওয়েব এপ্লিকেশনটির সফটওয়্যার আর্কিটেকচার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)’র সফটওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং এন্ড সার্টিফিকেশন সেন্টার (এসকিউটিসি) এবং বিসিসির বিএনডিএ সদস্যদের সমন্বয়ে পরীক্ষা করা, টেকনিক্যাল টিমের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সার্বিক কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির (ডিএসএ) নির্দেশনা মোতাবেক সার্ট, সক এবং নক গঠনপূর্বক সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে কোনো ধরনের সাইবার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে সিআইআই গাইডলাইন অনুসরণে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সিকে রিপোর্ট করা।
ভবিষ্যতে কোনো দপ্তরে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে।