
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে থাকা আব্দুল্লা নামের একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি পাশ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালি ইউনিয়নের বাড়াইল চর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন ও জোসনা বেগমের সন্তান।
চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাট জেলার মাসুদ রানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের বাড়াইল চরের বাবু ওরফে রাব্বিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ গ্রেফতার করে উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা শেষে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
স্থানিয়দের দাবি, পুলিশ মাসুদ রানা ও রাব্বির সাথে আব্দুল্লাকেও গ্রেফতার করে ফাঁড়িতে আটকে রাখে। পরে তাকে দুই দিন আটকে রেখে মারধুর করে ২৮ সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাকে স্থানিয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত তাকে জেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে জানান বলে জানা যায়।
মৃত আব্দুল্লার মা জোসনা বেগম জানান, “আমার ছেলে অপরাধী হলে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দিত, কিন্তু এভাবে কেন নিতে হলো তার জীবন?”
সলিমগঞ্জ ফাঁড়ি থানার আইসি এস.আই মহিম সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) শাহিনুর ইসলামের সাথে সরাসরি থানা প্রাঙ্গনে কথা বলতে গেলে তিনি পরে কথা হবে বলে গাড়ি যোগে চলে যান।