
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার সদর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামে চার সন্তানের জননী, অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে (৩০) ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারই প্রতিবেশী সেলিম খাঁ (৩৫) নামের এক যুবক নির্মমভাবে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ডান চোখে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী একটি মামলায় গত দুই মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। চার সন্তানকে নিয়ে তিনি অন্যের জমিতে মৎস্য শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্বামী জেলে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী সেলিম খাঁ দীর্ঘদিন ধরে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার দুপুরে সেলিম তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে সেলিম তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সেলিম পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর মা রেহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়ে জামাই জেলে থাকার সুযোগে সেলিম আমার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। খারাপ কাজে রাজি না হওয়ায় তাকে টেনেহিঁচড়ে ফেলে চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এতে আমার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
তবে অভিযুক্ত সেলিম খাঁ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় তার সাথে আমার ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। আমি তার বাড়িতে যাইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো।”
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তরিকুল ইসলাম জানান, “এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”