বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। আর এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। প্রতি বছর ছয় হাজার শিশু বিভিন্ন ধরনের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ (৮ মে) সারাবিশ্বসহ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস।
চিকিৎসকদের মতে, থ্যালাসেমিয়া হলো একটি বংশগত রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগ। এসব রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্ত স্বল্পতায় ভোগে। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা যেহেতু তাদের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়।
এদিকে, বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়ার সবচেয়ে বেশি বাহক রয়েছে রংপুর বিভাগে। থ্যালাসেমিয়া নিয়ে কাজ করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আইদেশি। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা যায়, থ্যালাসেমিয়ার বাহক সবচেয়ে বেশি রংপুরে ২৯ ভাগ। এর পর রাজশাহীতে ১৬ ভাগ, ময়মনসিংহে ১৩ ভাগ, সিলেটে ১১ ভাগ, ঢাকায় ৯ ভাগ, চট্টগ্রামে ৯ ভাগ, বরিশালে ৭ ভাগ আর খুলনায় ৪ ভাগ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। থ্যালাসেমিয়া বাহকদের পরস্পরের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুন করে ছয় হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা প্রতি মাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। চিকিৎসা না করা হলে এ রোগীরা রক্ত শূন্যতায় মারা যায়।
স্বাধীনতাপদক জয়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী জানান, থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে ২০১৮ সালে ১০ বছরের রোডম্যাপ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। কোনো অগ্রগতি ছাড়াই কেটে গেছে পাঁচ বছর। দুই বাহকের মধ্যে বিয়ের কারণে প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে নতুন বাহক ও রোগী। তবে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সঠিক সংখ্যা জানে না কেউ।
উল্লেখ্য, আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC