নভেম্বর ১৭, ২০২৪

রবিবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

দেশে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়েছে, বিবিএসের জরিপে যা জানাল

Divorce
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নতুন এক জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, দেশে তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদের সবচেয়ে বড় কারণ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা। ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২’ নামের এই প্রতিবেদনটি গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়।

বিবিএসের জরিপ অনুসারে, ২০২২ সালে স্থূল বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়ে ১ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল সময়ে এই হার শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১–এর মধ্যে ওঠানামা করেছে।

জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরপর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা (২২%)। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে বিবাহবিচ্ছেদের কারণের তালিকায়।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি বিচ্ছেদ হয়েছে ঢাকা বিভাগে, কম ময়মনসিংহ বিভাগে। দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতায় বিবাহবিচ্ছেদ বেশি বরিশালে, কম সিলেটে। ভরণপোষণ দিতে অসমর্থতার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ বেশি রাজশাহীতে, কম চট্টগ্রামে।

ধর্মভেদে বিবাহবিচ্ছেদের কারণেও পার্থক্য দেখা যায়। মুসলমানদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনকে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ১০ শতাংশের কম, হিন্দুদের ক্ষেত্রে হারটি ২০ শতাংশের কাছাকাছি।

এদিকে, জরিপে দেখা গেছে ২০২২ সালে সাধারণ বিয়ের হার বেড়ে ২৫–এর কিছু বেশি হয়েছে। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে ওই বছর যত জনের বিয়ে হয়েছে, সেটা সাধারণ বিয়ের হার। এই হার ২০২১ সালে ছিল ১৮.৫।

সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, করোনাকালের অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার সম্পর্ক কাটিয়ে ওঠার পর ২০২২ সালে বিয়ের হার বেড়েছে। গ্রামে এ হার বেশি।

নারী-পুরুষের মধ্যে সাধারণ বিয়ের হারে তেমন পার্থক্য নেই। তবে ধর্মভেদে তারতম্য দেখা যায়। মুসলমানদের মধ্যে হারটি বেশি-২৬। অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে তা ১৮-এর কিছু বেশি।