
ছয় বছর ধরে দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। এবারও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন ভারতীয়রা। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫২৫ টাকা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও শর্তসাপেক্ষে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতীয় রপ্তানি নীতিতে (২০১৫-১৮) শর্তসাপেক্ষে ইলিশকে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর পরের রপ্তানি নীতিতেও এই ধারা বজায় রাখা হয়।
আগ্রহী রপ্তানিকারকদের আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকেল ৫টার মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদনের সঙ্গে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র এবং মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার বা এক হাজার ৫২৫ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) নির্ধারণ করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, যারা ইতোমধ্যেই আবেদন জমা দিয়েছেন, তাদেরও নতুন করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
জানা যায়, ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে, বাংলাদেশের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়, তা মোট উৎপাদনের মাত্র ০.২৯ শতাংশ।
এছাড়া, সরকার যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, তার চেয়ে কম ইলিশই আসলে ভারতে যায়। যেমন গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮০২ টন।
গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথমে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীতে তা কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টনে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এইবার সেই পরিমাণের অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।