জুন ২৫, ২০২৫

বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

দুটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে লিটন

Litton Kumer Das
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে আগামীকাল কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচকে সামনে রেখে টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস দুটি দারুণ মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে।

দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের দশম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন লিটন। ২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তার। সেই অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে ৪৫ বলে ৪৪ রানের একটি কার্যকর ইনিংস খেলেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর থেকে দেশের হয়ে ৪৯টি টেস্ট খেলেছেন লিটন। ৪টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৩৪.২৯ গড়ে তার মোট রান ২৮৮১।

লিটনের আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ৫০ বা তার বেশি ম্যাচ খেলেছেন এমন ক্রিকেটাররা হলেন: মুশফিকুর রহিম (৯৭ ম্যাচ), মোমিনুল হক (৭২ ম্যাচ), সাকিব আল হাসান (৭১ ম্যাচ), তামিম ইকবাল (৭০ ম্যাচ), মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১ ম্যাচ), তাইজুল ইসলাম (৫৪ ম্যাচ), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫৩ ম্যাচ), হাবিবুল বাশার (৫০ ম্যাচ) এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৫০ ম্যাচ)।

শুধু ম্যাচ খেলাতেই নয়, উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক হওয়ার সুযোগও রয়েছে লিটনের সামনে। বর্তমানে এই তালিকায় তিনি সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের পাশে অবস্থান করছেন। দু’জনেরই সমান ১১৩টি করে ডিসমিসাল রয়েছে। ক্যাচ এবং স্টাম্পিংয়েও তাদের পরিসংখ্যান একই: দুজনই ৯৮টি করে ক্যাচ এবং ১৫টি করে স্টাম্পিং করেছেন।

তবে লিটনের কৃতিত্ব এখানে আরও উজ্জ্বল, কারণ মুশফিকের চেয়ে ৪৮টি কম টেস্ট খেলে তিনি এই অবস্থানে এসেছেন। মুশফিক যেখানে ৯৭ টেস্টে ১১৩ ডিসমিসাল করেছেন, লিটন সেখানে মাত্র ৪৯ টেস্টে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন।

এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ, যিনি ৪৪ টেস্টে ৮৭টি ডিসমিসাল (৭৮ ক্যাচ, ৯ স্টাম্পিং) করেছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা নুরুল হাসান ১১ ম্যাচে ৩৪ ডিসমিসাল (২৫ ক্যাচ, ৯ স্টাম্পিং) নিয়ে আছেন।

আরও পড়ুন