ইতিহাসে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠেছিল পাকিস্তান। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার ওয়ানডেতে জিতে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখলে নেয় পাকিস্তান। তবে সেই রাজত্ব মাত্র দুই দিনেই হারাল স্বাগতিক পাকিস্তান।
এ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে জয় পেলে শীর্ষস্থান ধরে রাখতেন বাবর-আফ্রিদিরা। কিন্তু শেষ ম্যাচে কিউইদের কাছে হেরে শীর্ষস্থান খুইয়েছে স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪৭ রানে হেরেছে পাকিস্তান। এই হারে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান হারালো পাকিস্তান।
গত শনিবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মত আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলো বাবর-আফ্রিদিরা। শেষ ম্যাচ হারলেও ১২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া ওয়ানডে সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে জিতলো পাকিস্তান। এর আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ২-২ সমতায় শেষ করেছিলো দু’দল।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে গতরাতে করাচিতে টস জিতে প্রথম ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। টপ-অর্ডারে টম ব্লান্ডেল ১৫ ও হেনরি নিকোলস ২৩ রান করে ফিরেন। দ্বিতীয় উইকেটে নিকোলসের সাথে ৫১ রান যোগ করার পর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক টম লাথামের সাথেও হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন ওপেনার উইল ইয়ং। জুটিতে ৭৪ বলে ৭৪ রান আসার পর ইয়ং-লাথামকে বিচ্ছিন্ন করেন পাকিস্তানের স্পিনার শাদাব খান।
শাদাবের বলে আউটের আগে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯১ বলে ৮৭ রান করেন ইয়ং। ইয়ং ফেরার পর মার্ক চাপম্যানের সাথে আরও একটি হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডের রান ২শ পার করেন লাথাম। এতে বড় স্কোরের পথ পায় নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু লাথাম ৫৮ বলে ৫৯ ও চাপম্যান ৩৩ বলে ৪৩ রানে আউটের পর নিউজিল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলতে পারেনি। শেষ ৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। ৩ বল বাকী থাকতে ২৯৯ রানে অলআউট হয় কিউইরা। পরের দিকে কোল ম্যাককঞ্চি ২৬ ও রাচিন রবীন্দ্র ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩টি, উসামা মির-শাদাব ২টি করে উইকেট নেন।
৩০০ রানের জবাবে ভালো শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। শান মাসুদ ৭, অধিনায়ক বাবর আজম ১, উইকেটরক্ষক মোহম্মদ রিজওয়ান ৯ ও ফখর জামান ৩৩ রান করেন। চতুর্থ উইকেটে ৯৫ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান ইফতিখার আহমেদ ও আঘা সালমান।
৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৫৭ রান করা সালমানকে শিকার করে নিউজিল্যান্ডকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার হেনরি শিপলি। দলীয় ১৬৩ রানে সালমানের বিদায়ের পর পরের দিকে ব্যাটারদের সাথে বড় জুটি গড়তে পারেননি ইফতিখার। এক প্রান্ত আগলে ইফতিখার লড়াই করলেও অন্যপ্রান্তে কেউ তাকে যথার্থ সঙ্গ দিতে পারেনি। এতে ৪৬ দশমিক ১ ওভারে ২৫২ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
দলের ইনিংস গুটিয়ে গেলেও ৭২ বলে ৯৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। তার ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। শাদাব ১৪ ও মির ২০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের শিপলি-রবীন্দ্র ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন শিপলি। সিরিজ সেরা হন পাকিস্তানের ফখর।
এই হারে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ১১২ রেটিং নিয়ে তৃতীয়স্থানে নেমে গেল পাকিস্তান।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC