দিনাজপুরে প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রার পারদ, সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হেড-লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সর্বশেষ আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার এ জেলায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু’দিনে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন একই অবস্থানে রয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা না থাকলেও বইছে হিমেল বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষ। কনকনে শীতে মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পরেছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাট-বাজার গুলো। দিনের বেলা হালকা সূর্যের দেখা মিললেও শীতের কারণে কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই।
ভোরে ঘন কুয়াশা থাকায় জেলার সড়ক গুলোতে হেড-লাইট জ্বালিয়ে যান-বাহান গুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফিরদৌস বলেন, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা জেলার ১৩ টি উপজেলাতে বেড়ে গেছে। সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য কর্মীরা গ্রাম অঞ্চলের নিয়োমিত পরিদর্শনে শীতজনিত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে শীতজনিত কারণে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সর্দি জ্বর কাশি ও শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ বেশি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত জেলার ১৩ টি উপজেলায় প্রায় ২৩ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জরুরী শীত বস্ত্রের চাহিদায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ই-মেইল বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিত্তবান জনসাধারণ ও বিভিন্ন বেসরকারি সাহায্য সংস্থা গুলোকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।