
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে, উপজেলার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এই দুই ওয়ার্ডে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া তিনজন হলেন: দোনারচর গ্রামের মান্নানের ছেলে ইউসূফ আলী, নাজির চৌধুরীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম এবং রাসেলের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার।
স্থানীয় ও পৌর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দি পৌর সদরের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দোনারচর, সবজিকান্দি, দাউদকান্দি, সাহাপাড়া, বলদাখাল ও তুজারভাঙ্গা গ্রামে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা রয়েছেন।
গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০-এর বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া, রাজধানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে, দাউদকান্দিতে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ভীতি ও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সরকার জানান, তার ওয়ার্ডে ডেঙ্গুতে তিনজন মারা গেছেন এবং এখনো শতাধিক আক্রান্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, “জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, উপজেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৫৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের তাৎক্ষণিক সেবা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।”
এ বিষয়ে দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম জানিয়েছেন, “পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে মশকনিধন কর্মসূচিও জোরদার করা হয়েছে।”