যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনীত করেছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কে এই ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন?
সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের সদস্য ও ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ব্রেন্ট টি. ক্রিস্টেনসেন বর্তমানে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক বিভাগের কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের পাকিস্তান ও বাংলাদেশবিষয়ক অফিসে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, যদিও বর্তমানে এই নামে আর কোনো অফিস নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রোফাইল অনুযায়ী, ক্রিস্টেনসেনের কর্মজীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র হস্তান্তর অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর (২০১৬-২০১৯), এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক সাব-কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের স্টাফ ফেলো (২০১৫-২০১৬) হিসেবে কাজ করেছেন।
এছাড়াও তিনি উত্তর কোরিয়া নীতির জন্য বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী, ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সাইবার কো-অর্ডিনেটর, ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাসে অর্থনীতিবিষয়ক ডেপুটি কাউন্সেলর, সান সালভাদরে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি ইকোনমিক কাউন্সেলর, রিয়াদে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এবং হো চি মিন সিটিতে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন ক্রিস্টেনসেন
ক্রিস্টেনসেনের এই মনোনয়নটি দেশটির সিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সিনেটের অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। পিটার হাস গত বছর বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার পর অবসরে যান। এরপর থেকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস রাষ্ট্রদূতশূন্য ছিল। হাসের পর মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত আরেক পেশাদার কূটনীতিক ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায়, যিনি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই পদে রয়েছেন।
একই সাথে, একাধিক নিয়োগ ও মনোনয়নের অংশ হিসেবে ক্রিস্টেনসেনের পাশাপাশি বর্তমান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত এবং সের্গেই গরকে ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
