সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও চুল পড়া বন্ধে খেতে পারেন কারি পাতা

Curry leaves can be eaten to control diabetes and stop hair loss
বারসুঙ্গা বা কারি পাতা। ছবি: সংগৃহীত

কারি পাতা শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, শরীরের জন্যও ভীষণই উপকারী এই পাতা। ডায়াবেটিস থেকে কোলেস্টেরস সব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আছে এই পাতার মধ্যে। নিম পাতার মতো দেখতে এ পাতা মিষ্টি নিম কিংবা বারসুঙ্গা নামেও পরিচিত। এর পাতা ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়।

কারি পাতার গুণাগুণ ও কীভাবে খেলে কাজ হবে-

কারি পাতাতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই। এসব কারণে এ পাতা ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং এর মাধ্যমে রূপচর্চাতেও বহু উপকার পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এখানেই শেষ নয়, কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে তবে রোজ সকালে কারি পাতার রস পান করুন।

স্বাস্থ্যকর চুল: চুল পড়ার হাত থেকেও মুক্তি দেয় কারিপাতা। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শুধু তাই নয় ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কারি পাতার কোনও তুলনা হয় না।

ক্ষত নিরাময় করে: কারিপাতায় আছে উপকারী অ্যালকালয়েড। যে কোনও আঘাত বা জখম অনায়াসে নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি। কারি পাতা সেদ্ধ পানি চুলকানি, অল্প পোড়া, ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়। কারি পাতা বাটা খুব ভালো অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা খাওয়া খুব ভালো। কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ-র প্রভাবে চোখের কর্নিয়া ভালো থাকে।

হার্ট ভালো রাখতে: কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

অ্যানিমিয়া নিরাময়: ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কনিকার মাত্রাক বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২ টো কারি পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ওজন কমায়: ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই পাতা। শরীরের বাড়তি মেদ বা চর্বিকে কমিয়ে দেয় কারি পাতা।

ডায়রিয়া নিরাময়: পেট ঠান্ডা রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে কারি পাতা। নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারিপাতাতে উপস্থিত কার্বেজল অ্যালকালয়েড নামক উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারিপাতার রস খেলে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।

মর্নিং সিকনেস: মর্নিং সিকনেস এবং সর্দির হাত থেকেও কারি পাতা বাঁচায়। কারিপাতা খেলে বমিভাব কমে।