সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে খুন হন কুমিল্লার সেই আ.লীগ নেতা

Awami League leader hacked to death in Cumilla
আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফা কামাল মুন্সি। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে কেন বা কে তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। এবার জানা গেল মূল ঘটনা। আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত মো. মোস্তাফা কামাল মুন্সি উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে এ ঘটনায় ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মোস্তফা কামালকে। ঘটনার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে জানা গেছে, নিহত মোস্তফা কামাল ও মামলার তিন আসামি সাইদুল (৩৬), নাজিম উদ্দিন (৩৯) ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা আছে। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মোস্তফা কামালের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়। এর জেরে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীন মোস্তফা কামালের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

১৬ ডিসেম্বর বিকেলে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলার সময় সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মিলে মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় ও কপালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান।

পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামি নাজিম উদ্দীনকে ও রুমন ব্যাপারী সুমনকে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।

আরও পড়ুন- কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা