ডাকাতিয়া নদীর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশের জমাটবাঁধা কচুরিপানা, বিভিন্ন তরুলতাসহ আগাছা অপসারণ কর্মসূচি শুরু করেছেন কনকাপৈত ইউনিয়নের একটি উন্নয়ন ফোরাম। এতে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী নদী থেকে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য অপসারণের কাজ করছে।
গতকাল শনিবার সকালে কনকাপৈত ইউনিয়নের মরকটা স্টিল ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ডাকাতিয়া নদী জঞ্জাল মুক্তকরণ কাজের নেতৃত্ব দেন কনকাপৈত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার।
জানা যায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল ও ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব দখলে এগিয়ে রয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা। বিভিন্ন স্থানে কলকারখানার দূষিত বর্জ্য, জমাটবাঁধা কচুরিপানা ও আবর্জনা ফেলে বিষাক্ত করে তুলেছে নদীটিকে।
এছাড়া যুগ যুগ ধরে খনন না করায় পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে নদীটি নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে নদীর পাশের ফসলি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। সম্প্রতিক বন্যার পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় প্রায় ৫০০ কোটির টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘কনকাপৈত ইউনিয়ন উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে প্রায় ২০ কিলোমিটার নদীর বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার মরকটা স্টিল ব্রিজ এলাকা থেকে এ কর্মসূচির সূচনা হলো। সম্পূর্ণ বর্জ্য অপসারণ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
এ সময় কনকাপৈত ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর হোসেন, তারাশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার নূরুল ইসলাম মজুমদার, ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মজুমদার, সমাজসেবক আহসান উল্লাহ, রেজাউল করিম মোল্লা, ডা. জহিরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, যুবনেতা শাহ আলম মজুমদার, প্রবাসী ইমাম হোসেন মজুমদার, ব্যবসায়ী মনির হোসেন, মাওলানা রুহুল আমিন, যুবনেতা ফুয়াদ ইবনে মোস্তফা, নূরুল আলম, মো. ফারহান, হোসাইন মামুন, কাজী আরিফ হোসেন, আরাফাত, ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।