
একসঙ্গে বেঁচে থাকা হচ্ছে না, তাই একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তাই ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য রেললাইনে দাঁড়িয়ে তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এলেন প্রেমিকা। তার চোখের সামনেই প্রেমিকের শরীরটি লাফিয়ে পড়ল চলন্ত ট্রেনের সামনে। মুহূর্তে টুকরো টুকরো হয়ে গেল শরীরটা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ বছর বয়সী প্রেমিক রাজু ভাটের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজু রাজস্থানের বালোত্রা গ্রামের পাছপড়রা থানা এলাকার খেড় গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর। তার দুই সন্তান আছে। আছেন স্ত্রী-ও। তার পরেও রাজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তারই গ্রামের ২০ বছরের এক তরুণীর।
তবে রাজুর পরিবার দাবি করছে রাজুকে হত্যা করে তার দেহ ট্রেনের সামনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ওই তরুণীর পরিবার।
রাজুর পরিচিতরা জানিয়েছেন, দুজনেই বুঝেছিলেন বিয়ে করা সম্ভব নয়। এনিয়ে বৃহস্পতিবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার পরই একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দ্রুতগতি ট্রেনকে সামনে আসতে দেখে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাজু ঝাঁপ দেন।
ভুক্তভোগীর ভাই ভিরামারাম জানান, তার ভাইকে আগেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাদের ধারণা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে রাজুকে হত্যা করে রাভিনার পরিবার। পরে তার লাশ ট্রেনের নিচে ফেলে দেয়া হয়।