নভেম্বর ১৯, ২০২৪

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

ট্রানজিশন পিরিয়ড বাড়ানোর জন্য ডাচ সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

ট্রানজিশন পিরিয়ড বাড়ানোর জন্য ডাচ সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
ট্রানজিশন পিরিয়ড বাড়ানোর জন্য ডাচ সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ। ডাচ প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত জফরি ভ্যান লিউওয়েনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেনের সাক্ষাতকালে এই অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল (শুক্রবার) এই বৈঠককালে লিউওয়েন পানি খাত ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে ডাচ সরকারের গভীর সহযোগিতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। আজ এখানে প্রাপ্ত নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানা গেছে।

বৈঠককালে মুখ্য সচিব বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারের অঙ্গীকার এগিয়ে নেয়াসহ বহুত্ববাদী ও উদারনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অভিযাত্রার কথা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তন এবং মিয়ারমার ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধানেও ডাচ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

লিউওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নেদারল্যান্ড সফরে ডাচ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রনের কথা পূর্ণব্যক্ত করেন। মুখ্য সচিব নেদারল্যান্ডের সঙ্গে একটি সরকারি-বেসরকারি সংলাপ মেকানিজম গড়ে তোলার যে প্রস্তাব করেছেন, ডাচ পক্ষ তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

নেদারল্যান্ড সরকারকে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখার জন্য জিএসপি (ইবিএ) এর ট্রানজিশন পিরিয়ড তিন বছরের পরিবর্তে ছয় বছর বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং মহাসচিব ফারুক আহমেদকে নিয়ে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রতিনিধি দলটি ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দিনব্যাপী একাধিক বৈঠক করেন, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে দুটি পার্শ্ববৈঠকও মিলিত হন।
মুখ্য সচিব শীর্ষস্থানীয় ডাচ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠাসমূহের প্রতিনিধি এবং এডোভেন ভিত্তিক ব্রেইনপোর্ট প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন।

এছাড়াও, বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতে, বিশেষ করে বাংলাদেশের কৃষির বিভিন্ন খাতে, ডাচ বিনিয়োগে অর্থায়ন সহজতর করতেও আলোচনা হয়।