
কুমিল্লায় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। সারা দেশের মধ্যে কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টাইফয়েড টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় প্রায় ১৬ লাখ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এরই মধ্যে সাড়ে ১১ লাখ নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা তথ্য অফিস, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংবাদকর্মীদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক একটি কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন, কুমিল্লা আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লার সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ জানান, এই টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় জেলায় মোট ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর বিপরীতে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১ লাখ ৫৬ হাজার ১২৫ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কুমিল্লার মানুষ সচেতন হওয়ায় সারা দেশের তুলনায় নিবন্ধনের হার সবচেয়ে বেশি হয়েছে। চলমান কার্যক্রমে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে তাদের লক্ষ্যমাত্রার ৭৩ শতাংশ পূরণ করেছে।
সিভিল সার্জন রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত তথ্যও দেন:
- স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ লাখ ৫ হাজার ৭৪৯ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যার মধ্যে সাত লাখ ১৩ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
- অন্যদিকে, কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ২৭০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৫ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যে সকল অভিভাবক বা শিশুর অভিভাবকরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যায় পড়ছেন, তাদের জন্য অ্যানালগ পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করে হাতে টিকার কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র তথ্য অফিসার, কুমিল্লা, মোহাম্মদ নূরুল হক, এবং পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা: ফারিয়া জাফরিন আনসারী।