ডিম আমাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম সহজলভ্য ও উপকারী উপাদান এবং এটি প্রোটিনের একটি দারুণ উৎস। প্রতিদিনের আমিষের চাহিদা পূরণে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা ডিমকে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে গণ্য করেন।
ডিমের এই উপাদানে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে বহু দরকারি পুষ্টি উপাদান। তবে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন যে, ডিম কুসুমসহ খাবেন না কি কেবল সাদা অংশ। চিকিৎসকরা বলেন, এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও প্রয়োজনের ওপর।
একটি ডিমে সাধারণত দুই-তৃতীয়াংশ সাদা অংশ এবং এক-তৃতীয়াংশ কুসুম থাকে।
অনেকের ধারণা, ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, তাই তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাস্তবতা হলো, ডিমের কুসুমে ‘ভালো কোলেস্টেরল’ ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়ক। এছাড়াও এতে থাকা অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্যও উপকারী।
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: ডিমের সাদা অংশে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, যা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২. কোলেস্টেরলমুক্ত: যাদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তারা নির্ভয়ে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন, কারণ এতে কোলেস্টেরল থাকে না।
১. উচ্চ ক্যালরি ও পুষ্টি: কুসুমে ক্যালরির পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, যা শরীরের সামগ্রিক পুষ্টিতে সহায়তা করে।
২. হার্টের জন্য ভালো: কুসুমে থাকা পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী। এই ‘ভালো ফ্যাট’ হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম উভয় অংশই শরীরের জন্য উপকারী, তবে তা খাওয়ার পরিমাণ ও উপায় নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর। সুস্থ থাকলে কুসুমসহ পুরো ডিম খাওয়া যেতে পারে, তবে যাদের বিশেষ রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : এশিয়া নেট
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC