জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল করতে জুলাই-আগস্টের শহীদদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন এই বাংলাদেশকে স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেইসঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘মূলত: শহীদদের অবদানে আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও জাতির উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে।’
নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারি এবং দৃঢ়। সামাজিক বৈষম্য, ক্ষুধা, দারিদ্র, নিরক্ষরতা, পশ্চাৎপদতা, ইত্যাদির দূরীকরণ এবং সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়া বড় চ্যালেঞ্জ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ততদিন দেশ উন্নত হবে না যতদিন পর্যন্ত দেশ পরিচালনার জন্য, অর্থনীতির হাল ধরার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রকৃত উচ্চশিক্ষিত নাগরিক আমরা সৃষ্টি করতে না পারি।’
তরুণরাই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন উল্লেখ করে বিধান রঞ্জন বলেন, তাদের উদ্যোগেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সুতরাং দেশের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে, ভালো ও মানবিক মানুষ হয়ে বিশ্বসভায় দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রচলিত ও গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। তাই আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা।’
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সাহাবুদ্দিন আহমেদের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতাবলে এই সমাবর্তনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান বক্তব্য রাখেন।
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে বক্তৃতা করেন। এবারের সমাবর্তনে ৩ হাজার ৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী দেওয়া হয়।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণপদক’ দেন।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC