এপ্রিল ২, ২০২৫

বুধবার ২ এপ্রিল, ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের পুরস্কার, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

Women in the July Uprising
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় “আন্তর্জাতিক সাহসী নারী” পুরস্কারে ভূষিত করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের। এই সম্মাননা সেই নারীদের জন্য যারা শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এই বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই পুরস্কার তাদের জন্য যারা সকলের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।”

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ট্যামি ব্রুস বলেন, “আমরা এখানে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারের বিষয়ে কথা বলব। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রকৃতি সম্পর্কিত প্রশ্নের শেষ অংশ নিয়ে আমি কোনো অনুমান করব না।”

তিনি আরও বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প আগামীকাল এখানে পররাষ্ট্র দপ্তরে ১৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। ২০২৫ সালের এই অনুষ্ঠানে আটজন অসাধারণ নারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং বিশ্বজুড়ে ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ আইডব্লিউওসি পুরস্কার প্রাপকদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে যারা সকলের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এই মুখপাত্র আরও বলেন, “মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আইডব্লিউওসি পুরস্কার – যা আমরা বলি – বিশ্বজুড়ে সেইসব নারীদের স্বীকৃতি দেয় যারা ব্যতিক্রমী সাহস, শক্তি এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীরা শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের সমর্থক। তাদের প্রচেষ্টার ফলে তারা প্রায়শই তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের ব্যক্তিগত ঝুঁকির সম্মুখীন হন।”

ট্যামি ব্রুস জানান, ২০০৭ সাল থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৯০টিরও বেশি দেশের ২০০ জনেরও বেশি নারীকে আইডব্লিউওসি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। বিদেশে মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থানের (হোস্ট) দেশ থেকে একজন সাহসী নারীকে মনোনীত করে এবং চূড়ান্ত প্রার্থীদের নির্বাচিত করে বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুমোদন করেন।