সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জুলাইয়ে কমলো রেমিট্যান্স প্রবাহ

dollar
ডলার। ছবি: রয়টার্স

আজ শেষ হচ্ছে জুলাই মাস। এই মাসে কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বাড়তি দরে ডলার কিনছে হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক প্রতি ডলারে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত দিচ্ছে।

এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এমন অস্থিরতা, আর্থিক হিসাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

দেশের অর্থনীতি গত কয়েকবছর ধরেই ডলার সংকটে ভুগছে। বিদেশি মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবুও সুফল মিলেনি। এমন অবস্থায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, গত সপ্তাহে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ডলার। অথচ সংখ্যাটা ৫০ কোটির ওপরে ছিল চলতি মাসের প্রতি সপ্তাহেই। জুলাইয়ের ২৭ তারিখ পর্যন্তও সংখ্যাটা খুব একটা সুখের না, মাত্র ১৫৬ কোটি ডলার। রেমিট্যান্সের নেতিবাচক এই প্রবাহে চিন্তিত ব্যাংকের কর্মকর্তারাও। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বাড়তি দরে ডলার কিনছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। মানা হচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রলিং পদ্ধতি।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের মোহাম্মদ মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনা ঘটলে এর তো কিছু একটা ইমপ্যাক্ট আছেই। এটি হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে। প্রবাসীদের আয় কিছুটা কমে গেছে। প্রবাসীদের প্রপার চ্যানেলে টাকা পাঠাতে বলা হচ্ছে কিন্তু আমরা এখনও পাইনি।

অনন্যদিকে চলমান অস্থিরতায় বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠাতে প্রচারণায় একটি পক্ষ। যার সুযোগ নিচ্ছেন হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের অভাবকেই দুষছেন বিশ্লেষকরা।