চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় তারা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় আন্দোলনকারীরা “একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর”; “আমার ভাই কবর, খুনি কেন ভারতে”; “ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, করতে করতে হবে”; “এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়”; “স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান” “মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”; “ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর দিলেও এখনো তাদের মূলোৎপাটন করতে পারিনি। এই বাংলার মাটিতে এখনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন, যিনি স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই। অন্যথায় এই ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আরও কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
সমাবেশে সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, এই মুজিববাদ যেখানে প্রবেশ করেছে সেই জায়গাকে পঁচিয়ে বের হয়েছে। এই মুজিববাদ ৭২-এর সংবিধানকে কলুষিত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্টদের দালালরা এই দেশে থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলার জমিনে হবে। এই ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা একটা নতুন সংবিধান, একটি নতুন বাংলাদেশ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজিদা আফিয়া অদিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আব্দুল কাদের, হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য দেন।
এর আগে সোমবার ভোর ৪টার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলায় বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।