
মিরশান্নি বাজার পশুর হাটে খাসি ও বকরির পেটে পাইপ ঢুকিয়ে পানি ভরে ওজন বাড়ানোর অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (৯ এপ্রিল ২০২৫) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল, হাটে খাসি ও বকরি বিক্রির আগে তাদের পেটে পাইপ ঢুকিয়ে পানি ভরে ওজন বাড়ানো হয়, ফলে এগুলো দেখতে মোটাতাজা মনে হয়। অনেকে এসব পশু কিনে নেওয়ার পর বাড়ি পৌঁছানোর আগেই মারা যায়।
এ প্রতারণার সত্যতা যাচাইয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজেই সাধারণ ক্রেতা সেজে বাজারে যান এবং হাতেনাতে ৯ জনকে আটক করেন। অভিযানে বিভিন্ন রঙের ৬৮টি খাসি ও বকরি জব্দ করা হয়।
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আটক ৯ জনের মধ্যে ৪ জনকে ১ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া, আটক ৬৮টি খাসি ও বকরির মধ্যে একটি পানি ভরে দেওয়ার কারণে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
বাকি ৬৭টি খাসি ও বকরির স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ব্যক্তি পেয়ার আহম্মেদকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার শর্তে আদালতের আদেশে জিম্মা দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন জানান, “এ ধরনের নিষ্ঠুরতা এবং প্রতারণা কঠোরভাবে দমন করা হবে। আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”