কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ০৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৯ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ০৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের আনন্দপুর জামে মসজিদের মাঠ থেকে একটি কালো ও নীল রংয়ের হিরো ব্রান্ডের মোটর সাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটির মালিক গত ৯ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল গত ১০ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম-ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকার লাটিমি রাস্তার মাথা হতে মোটরসাইকেল চুরিকারী চক্রের সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
সাদ্দাম হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বিষ্ণুপুর এলাকার সোহেলসহ অপর আসামীরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত এবং তাদের কাছে আরো বেশ কয়েকটি চোরাই মোটরসাইকেল আছে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা সোহেল এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ সোহেল ও গ্যারেজ মিস্ত্রি শাহ আলম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও এই চক্রের সদস্য মোঃ ফরহাদ হোসাইনকে একটি চোরাই লিভো হোন্ডা সহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
পরে ফরহাদ এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক সোহেল এর বাড়ীতে থাকা ০৩ টি বিভিন্ন ব্রান্ডের নম্বর প্লেট বিহীন মোটরসাইকেল সহ মোট ০৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই (মোহাম্মদ ওসমান গণি বাদী হয়ে চোরাই মালামাল (মোটরসাইকেল) রাখার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পার্শ্ববর্তী জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই মোটরসাইকেল সোহেলের বাড়িতে এনে নম্বর প্লেট খুলে ও রং পরিবর্তন করে বিভিন্ন লোকজনের নিকট বিক্রয় করে আসছিল।
পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।