বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই, ২০২৫

চৌদ্দগ্রামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা ও জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাটে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা প্যাথলজিস্ট না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এটি সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

জানা যায়, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন মাত্র টেকনিশিয়ান দিয়েই পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। রিসেপশন থেকে শুরু করে স্যাম্পল সংগ্রহ, ল্যাবে পরীক্ষা এবং রিপোর্ট দেওয়া—সব কাজই করতেন ওই টেকনিশিয়ান। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন সেখানে আকস্মিক অভিযান চালান।

ইউএনও জামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অভিযানের সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে কোনো চিকিৎসক বা প্যাথলজিস্টকে পাওয়া যায়নি। নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি টেকনিশিয়ান হিসেবে সকল কাজ পরিচালনা করছিলেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই অভিযানে, পার্শ্ববর্তী নেছারিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার শর্তে সতর্ক করা হয় এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রশিদ আহাম্মেদ চৌধুরী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন