
দেশে চায়ের উৎপাদন কিছুটা কমেছে, তবে এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবমিলিয়ে এক কোটি কেজি চায়ের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো শ্রমিক আন্দোলনের কারণে চা-বাগান বন্ধ থাকা। তবে, কর্মকর্তারা মনে করেন না যে এই উৎপাদন হ্রাসের কারণে বাজারে কোনো সংকট দেখা দেবে।
সিলেটের তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিঙ্কু চক্রবর্তী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাইয়ের কারণে আমরা মৌসুমে পাতা তুলতে পারিনি। ফলে উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।’
বাগান মালিকরা বলছেন, রপ্তানির সুযোগ না থাকায় তারা চায়ের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট এবং উচ্চ ব্যাংক সুদের হারও এই খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
সিলেট হাফিজ টি এস্টেটের পরিচালক এম এ জামান সোহেল বলেন, ‘প্রায় ৯-১০ মিলিয়ন কেজি চা অতিরিক্ত রয়ে গেছে। যদি আমরা এটি রপ্তানি করতে না পারি, তবে আমরা আরও পিছিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে এটি রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে।’
চা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন কম হলেও বড় ধরনের সংকট হবে না। বাংলাদেশ চা বোর্ডের যুগ্ম সচিব ড. পীষূষ দত্ত বলেন, ‘আমরা যাতে কম সুদের হারে ঋণ পাই, সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’
বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কারখানার উন্নয়ন এবং সরকারি সহায়তা পেলে দেশের চা শিল্প অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।