
চা না খাওয়ায় ৫ শতাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিলেন শাহজাহান মিয়া নামের এক দোকানদার। এতে ওই রাস্তায় চলাচল করা স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে তিন দিনে ওই রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মধ্য কুমেতপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জোরপূর্বক রাস্তাটি গর্ত ও বাঁশের লাঠিসহ কাঁটা দিয়ে বন্ধ করে দেন চা দোকানদার শাহজাহান মিয়া। তিনি নিজের জায়গার রাস্তার পাশাপাশি আরেকজনের জায়গাতেও গর্ত করেছেন। এতে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করায় যানবাহন বাড়িতে রেখে অনেকে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছেন। আবার কেউ বাইসাইকেল হাতে করে ঘাড়ে তুলে রাস্তার গর্তের স্থান পার হচ্ছেন। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভয়ে গর্ত পারাপার হচ্ছেন অতিকষ্টে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, চায়ের দোকানদার শাহজাহান মিয়ার দোকানে কয়েকজন গ্রামবাসী চা না খেয়ে অন্য দোকানে চা খাওয়ায় তিনি এরকম আজব অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাদের দাবি দ্রুত রাস্তা চলাচলের ব্যবস্থা ও অভিযুক্ত দোকানদারকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।
ভুক্তভোগী বাসিন্দা জহুরুল গণমাধ্যমকে বলেন, সামান্য চা না খাওয়াকে কেন্দ্র করে তিন দিন ধরে আমরা চলাচল করতে পারছি না। ৫০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি।
অটোরিকশাচালক হামিদ গণমাধ্যমকে জানান, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দ্রুত এই রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক ও চা দোকানদার শাহাজাহানের শাস্তি চাই। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি এখন পর্যন্ত।
শিক্ষর্থী রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে স্কুল যেতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে যাচ্ছি। দ্রুত রাস্তাটি ঠিক করা হোক। পথচারী জাহিদ বলেন, সাইকেল হাতে করে তুলে পার হতে হচ্ছে। অপরদিকে বৃদ্ধা নারীরা বলছেন, ঠিকভাবে রাস্তা পার হতে পারছি না। খুব কষ্টে আছি।
এদিকে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে দোকান বন্ধ করে শাহজাহান মিয়া উধাও হয়ে যান।
এ বিষয়ে বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি অবগত আছি। জমির মালিক শাহজাহান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। দ্রুত সমস্যাটি সমাধান হবে বলে আশা করছি।










