বুধবার ১৩ আগস্ট, ২০২৫

চালে তৃতীয়, মাছে দ্বিতীয় ও ছাগল উৎপাদনে পঞ্চম বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি কোলাজ/গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে। এর পাশাপাশি, মিঠা পানির মাছ ও পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং ছাগল উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং রসুন উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কৃষি উৎপাদনে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট চাষযোগ্য জমির প্রায় ৭৭-৮০ শতাংশে ধান চাষ হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে ৫০১.১৭ লক্ষ মেট্রিক টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৭.৩ শতাংশ বেশি। গত পাঁচ দশকে মোট কৃষি উৎপাদন প্রায় ৩.৫ গুণ এবং গত এক দশকে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১২৯.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৎস্য খাতেও এসেছে অগ্রগতি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪১.৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫০.৮০ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।

এছাড়াও, গত এক দশকে দুধ ও মাংসের উৎপাদন যথাক্রমে ২.১৫ গুণ এবং ১.৫৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অউই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ছিল ১.৬০ শতাংশ এবং মৎস্য খাতের অবদান ছিল ৩.৫২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষির সামগ্রিক অবদান ছিল ১০.৯৪ শতাংশ।

প্রতি বছরই আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের জন্য মোট আবাদযোগ্য জমির ০.৩৬ শতাংশ, অর্থাৎ ১.১২ লক্ষ একর হ্রাস পেয়েছে। এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, শস্য বহুমুখীকরণ এবং কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষিনির্ভর। দেশের মোট শ্রমজীবীর ৪৬ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৩৯ হাজার কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২.৬৩ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন