
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া থেকে নবাবপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির বেহাল দশার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ, গর্ত আর ভাঙাচোরা অংশের কারণে এই পথে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এই সড়কটি দিয়ে চান্দিনা,কচুয়া উপজেলার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন মাধাইয়া, নবাবপুর, গল্লাই, মাইজখার, কাদুটি সহ আশেপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে কুমিল্লা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং কৃষকরা তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য এই সড়কের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সড়কটির এমন দুরবস্থার কারণে জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির সংস্কারের জন্য বহুবার আবেদন জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিশেষ করে মাধাইয়া বাজারের পর থেকে নবাবপুর পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বড় বড় গর্ত আর পিচ উঠে যাওয়ায় বৃষ্টি হলে এই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়, যা দেখতে পুকুরের মতো লাগে। তখন ছোট বড় যানবাহন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়। রিকশা, সিএনজি, অটো-রিকশা, মাইক্রোবাসসহ সব ধরনের যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যানবাহনের মালিকদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে মেরামতের জন্য, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
একইভাবে, এই সড়কের কারণে কৃষি পণ্য পরিবহনেও বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না সহজে, যার কারণে তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স চলাচলও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, যা রোগীদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, সড়কে মেরামতের জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজ শুরু করবেন বলে তিনি জানান।