
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাতার সরকারের উদ্যোগে একটি ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জার্মানি থেকে ঢাকায় আসছে। এয়ারক্রাফটটি পরিচালনা করবে জার্মানির শীর্ষস্থানীয় এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ, যারা আন্তর্জাতিক চিকিৎসা পরিবহন ও মিশন-ক্রিটিক্যাল এভিয়েশন সেবায় পরিচিত।
কাতার দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসসকে জানান, কাতার সরকার খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সুপারিশ অনুযায়ী বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (CL60) মডেলের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে। আগে পরিকল্পনা ছিল কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের, তবে ‘কারিগরি ত্রুটি’ দেখা দেওয়ায় বিকল্প বিমান আনা হয়েছে।
দীর্ঘপাল্লার আন্তর্মহাদেশীয় ফ্লাইট পরিচালনায় সক্ষম চ্যালেঞ্জার ৬০৪ আন্তর্জাতিক মেডিকেল ইভাকুয়েশন ফ্লাইটের জন্য উপযোগী বলে পরিচিত। এর মাধ্যমে রোগী পরিবহন ও ভিআইপি ফ্লাইট—দুটি ক্ষেত্রেই সেবা দেওয়া হয়।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, মূল বিমানটির কারিগরি সমস্যার কারণে বেগম জিয়ার লন্ডনে স্থানান্তর বিলম্বিত হয়েছে। সমস্যা নিরসন হলে শনিবার বিমানটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মেডিকেল বোর্ড অনুমতি দিলে ৭ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া দেশ ছাড়তে পারেন।
এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাতার দূতাবাসে নোট ভারবাল পাঠিয়েছে এবং কাতার ইতিবাচক সাড়া দিয়ে জানিয়েছে ভ্রমণের অনুমতি মিললেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হবে।
বিএনপিও পৃথকভাবে একটি চিঠি পাঠিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে ইংল্যান্ডে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা চেয়েছে।










