নভেম্বর ১৬, ২০২৪

শনিবার ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি সঞ্চয় করছে, কবে-কোথায় আঘাত হানবে

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ
ছবি: সংগৃহীত

 তাপপ্রবাহ চলছে দেশের ৫৮ জেলায়। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহ শেষে ২১ মের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির বার্তাও দিয়েছে অধিদপ্তর, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২০ মের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। সেটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপের ধাপ পেরোতে পারে। যা শক্তিশালী হয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে সেটা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে কিনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন মডেল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২১ তারিখের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যেটি পরবর্তীকালে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হলে কোথায় আঘাত হানতে পারে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। এটির গতিপ্রকৃতি এখন স্পষ্ট নয়। লঘুচাপ সৃষ্টির পর বলা যাবে।’

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস হিন্দুস্তান টাইমসের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ২৪ মে বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি বাড়িয়ে একটি ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে আগামী ২০ মে থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। যা ২৪ মে থেকে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগোতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অনুমান করা হচ্ছে, আগামী ২৫ মে সন্ধ্যার পর এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে- ‘এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।’

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।