
গুড় বাঙালির অন্যতম পছন্দের ঐতিহ্যবাহী খাবার। শীত মৌসুম এলেই বেড়ে যায় এর ব্যবহার। বিশেষ করে শীতকালে পিঠা–পায়েসে এর ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়ে যায়। স্বাদের পাশাপাশি গুড়ের পুষ্টিগুণও অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
এতে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। আছে নানা ধরনের ভিটামিন, যা শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
বাংলাদেশে সাধারণত খেজুরের রস থেকেই মিষ্টি গুড় তৈরি করা হয়। রস সংগ্রহের পর তা বড় পাত্রে রেখে স্থির করা হয় এবং পরবর্তী ধাপে আগুনে ফোটাতে ফোটাতে浓থ হতে হতে গুড়ের রূপ নেয়।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, বাজারে এখন অনেক ভেজাল গুড় পাওয়া যাচ্ছে। কৃত্রিম চিনি, রাসায়নিক রং ও স্বাদ বৃদ্ধিকারক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি এসব গুড়ে স্বাভাবিক গন্ধ বা স্বাদ থাকে না। তাই খাঁটি ও প্রাকৃতিক গুড় বেছে নিতে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।
গুড়ের খাঁটি ভাব যাচাইয়ের ৪টি সহজ কৌশল
১. পানি দিয়ে পরীক্ষা
এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে গুড়ের একটি টুকরা ফেলুন। আসল গুড় ধীরে ধীরে গলে পানিকে হালকা লালচে বা বাদামি রঙের করবে। ভেজাল গুড় পানিতে দিলে সাদা স্তর ভাসবে বা পানি দুধের মতো সাদা হয়ে যাবে।
২. ভিনিগার দিয়ে পরীক্ষা
সামান্য ভিনিগারের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে দেখুন। ফেনা উঠলে বুঝতে হবে এতে ভেজাল বা রসাল চিনি মেশানো হয়েছে।
৩. রং ও টেক্সচার দেখে চেনা
ভালো মানের গুড় সাধারণত হালকা কালচে–সোনালি রঙের হয়। হাতে নিলে চটচটে ও মসৃণ অনুভব হবে। ভেজাল মেশানো গুড় একটু সাদাটে, শক্ত এবং অস্বাভাবিকভাবে চকচকে হতে পারে। পাটালি তৈরির সময় রসাল থাকে না এবং রঙে সাদাটে ভাব আসে।
৪. স্বাদ পরীক্ষা
আসল গুড়ের মিষ্টির মধ্যে হালকা ঝাঁঝ বা তিতকুটে স্বাদ থাকে। ভেজাল গুড় শুধু চিনির মতো মিষ্টি—ঝাঁঝ থাকে না। নোনতা স্বাদ পেলে গুড়টি না খাওয়াই ভালো।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া










