
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৯ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরু পর থেকে সোমবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ২৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে অন্তত ১৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৯৩ জন আহত হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১০৫ জনে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়েছে আরো ৬২ হাজার ৬৮১ জন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছে না।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর যে যুদ্ধ শুরু হয় সে সম্পর্কে প্রকাশিত এক খোলা প্রতিবেদনে হামাস বলেছে, তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব অবসানে ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির জন্য বেশ কিছু ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নিয়েছে।
হামাসের ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন নিয়মের কারণে তাদের কিছু ভুল হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া ও সীমান্তে বিশৃঙ্খলার কারণে এসব ভুল হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘পরিপূর্ণ বিজয়ের’ শপথ নিয়ে বলেছেন তার সরকার গাজায় এখনও আটকে রাখা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের কোনো শর্তকে গ্রহণ করবে না।
অন্যদিকে গতকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) জরুরি মানবিক সহায়তা হিসেবে গাজায় ২৬০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া গত শুক্রবার সেখানে ২৮৮টি ট্রক জরুরি পণ্য নিয়ে প্রবেশ করে। তবে এসব সাহায্য সামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য বলে জানানো হয়েছে।