সারা দেশে অস্থিরতা ও কারফিউ জারির পর ক্ষতিগ্রস্ত খাতের মধ্যে মহাসড়কের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা অন্যতম। এরই অংশ হিসেব গভীর সঙ্কটে পড়েছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা অংশে রয়েছে শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে কাজ করেন অন্তত ৫ হাজার কর্মী। তারাও রয়েছেন কাজ হারানোর সঙ্কটে।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের রেস্টুরেন্টগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত উন্নত ও মাঝারি মানের শতাধিক রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কুমিল্লার কোটবাড়ীতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় ৪ জুলাই থেকে। তারপর থেকে মহাসড়ক অবরোধ চলছে থেমে থেমে। সে সময় থেকে বিশেষ করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পদুয়ার বাজার অংশের রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়।
একদিকে কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ভ্যাট, ট্যাক্স, অন্যদিকে রেস্টুরেন্ট বন্ধ। এতে মালিকরা পড়েছেন বেকায়দায়।
এ বিষয়ে চায়না গার্ডেন রেস্টুরেন্ট এর ম্যানেজার জাহিদ হাসান সিয়াম রাইজিং কুমিল্লাকে বলেন, ‘অস্থিরতা ও কারফিউ জারির পর থেকে কাস্টমার আসা কমে গেছে। দৈনিক বিক্রির তিন ভাগের এক ভাগও উঠছে না। গভীর সঙ্কটে আছি।’
এ বিষয়ে হোটেল মায়ামী-৩ এর শ্রমিক শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছি। সহিংসতা এবং কারফিউ জারির কারণে রেস্টুরেন্টে এখন মানুষ আসছে না। ব্যবসা না থাকায় আমাদের বেতন দিতে কষ্ট হচ্ছে মালিকের। আগে কাস্টমার থেকে কিছু বখশিশ পেতাম, সে সুযোগও নেই।’
এ বিষয়ে হাইওয়ে হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন বাদল জানান, ‘মহাসড়কে গাড়ি নেই। মাসজুড়েই লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতিতে সবারই কিছু সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’