
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে কুমিল্লায় অন্তত ৫৫ জন অপেশাদার কসাই (যাদেরকে ‘একদিনের কসাই’ বলা হচ্ছে) আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। শখের বশে পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে অনভিজ্ঞতার কারণে তাদের হাত-পা কেটেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (০৭ জুন) কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ২৫ জন এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জন একদিনের কসাই চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন এবং তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, যারা পেশাদার কসাই নন, তারাই মূলত কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে বেশি আহত হয়েছেন। তাদের হাত-পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। কিছু পেশাদার কসাইও সামান্য আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মো. ফয়সাল আহমেদ, যিনি একজন ‘একদিনের কসাই’, জানান, “তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমার হাত এবং পা কেটেছে। হাতে তিনটি সেলাই লেগেছে। সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।”
একইভাবে মোগলটুলী এলাকার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে বড় ধরনের আঘাত লেগেছে। শখের বশে মাংস কাটতে গিয়ে পায়ে আটটি সেলাই লেগেছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি।”
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. জোবায়ের বলেন, “আহতদের বেশিরভাগই অনভিজ্ঞ কসাই। কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে তাদের হাত-পায়ে আঘাত লেগেছে। শনিবার ঈদের দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমরা অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহত যারা তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”