
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে নির্বাচন কমিশনের চিঠির প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে আর ইসি তাতে শেষ পেরেক ঠুকতে চাচ্ছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। কোন পরিপত্র জারি করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। এবার জনগণ বিজয় নিশ্চিত করেই ঘর ফিরবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপিসহ সমমনা সকল বিরোধী দলের ডাকা ১১ ধাপের ৩৬ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অবৈধ নির্বাচন কমিশনাররা ইসিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনে পরিণত করেছে। তাদের ভাবখানা দেখলে মনে হচ্ছে তারা গোটা দেশের মালিক হয়ে গেছেন। এখন তারা দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারেও হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে। বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে নানা ফর্মূলা বের করার অপচেষ্টা করছে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা তো জনগণের ন্যায্য দাবি। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এত বড় বড় কথা বলেন কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে তারা আতঙ্কিত হয়ে যান। তারা রাষ্ট্রশক্তি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে। যাতে কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি না জানায়। এককথায় সুষ্ঠু নির্বাচনকে গোরস্থানে পাঠিয়েছে সরকার।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সরকার সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করে গ্রেফতার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। তবুও আমাদের নেতাকর্মীরা দাবি আদায়ে রাজপথে বুক চিতিয়ে যেভাবে চলমান কর্মসূচি সফল করছেন তা বীরোচিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী দল সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ার, মো. শাহ আলম, সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী, হাজী আনোয়ার হোসেন, হাজী আবু বকর সিদ্দীক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. বাকিবিল্লা ও দক্ষিণের সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা প্রমুখ।









