আমরা সবাই জানি, কান্না মানুষের আবেগের প্রকাশ। দুঃখে কাঁদি, আনন্দে কাঁদি। কিন্তু কান্নার পেছনে শুধু আবেগই জড়িত নয়, এর পিছনে লুকিয়ে আছে অনেক বিজ্ঞানও।
কান্নার যতো উপকারিতা:
ব্যথা কমায়: কান্নার সময় শরীরে এন্ডোরফিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
চাপ কমায়: কান্না কর্টিসলের মতো স্ট্রেস-সম্পর্কিত রাসায়নিকগুলো বের করে দেয়, যা আপনার শরীরকে ধুয়েমুছে ডিটক্সিফাই করে। ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।
ঘুম ভালো করে: অনেকক্ষণ ধরে কান্নাকাটির ফলে শরীরে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণের পাশাপাশি প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। মাঝেমধ্যে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে মাথা ঠান্ডা হয়ে একধরনের প্রশান্তি বোধ করবেন, এটা আপনাকে শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দিতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে মাঝেমধ্যে একটু কান্নাকাটি করতেই পারেন!
চোখের যত্ন: অনেকক্ষণ ধরে কান্নাকাটির ফলে শরীরে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণের পাশাপাশি প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। মাঝেমধ্যে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে মাথা ঠান্ডা হয়ে একধরনের প্রশান্তি বোধ করবেন, এটা আপনাকে শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দিতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে মাঝেমধ্যে একটু কান্নাকাটি করতেই পারেন!
মুড ভালো করে: মনোবিদেরা বলেন, কান্না আবেগ দমন করে আপনার মুড ভালো করে দিতে পারে। কান্নার মাধ্যমে আপনি প্রকারান্তরে ক্ষতিকর হরমোনগুলো শরীর থেকে বের করে দিয়ে ফুরফুরে হয়ে ওঠেন।
মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে: অনেক সময় বন্ধু বিয়োগ হলে বা ব্রেকআপ হলে আমরা কান্নায় ভেঙে পড়ি। এ ধরনের অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কান্না। তখন মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও চাপ কাজ করে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে কান্না।
শিশুদের জন্য: শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে কি কারো ভালো লাগে? কিন্তু কান্নাকাটি শিশুদের জন্যও উপকারী। এটি শিশুদের শ্বাসনালি পরিষ্কার করে। বেশি বেশি অক্সিজেন নিতে সহায়তা করে। এতে তার কষ্ট লাঘব হয়। ‘ছন্দোবদ্ধ’ কান্না শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ঠিক বড়দের মতোই কান্নাকাটির পর শিশুদের চাপ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়, ফলে সে রিল্যাক্সড হয়। ঘুম ভালো হয়।
কেন নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদে?
সামাজিক ও জৈবিক কারণে নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদেন। নারীরা তাদের আবেগ প্রকাশে বেশি খোলা মনোভাবাপন্ন হন।
কখন চিন্তিত হওয়া উচিত?
যদি আপনি প্রায়ই কাঁদেন এবং এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে, তাহলে একজন মনোবিদের পরামর্শ নিন।