
কুয়েতে কর্মরত বেসরকারি খাতের প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে এই আইন, যার ফলে কুয়েতের বাইরে যেতে হলে প্রত্যেক প্রবাসীকে তার মালিক বা নিয়োগকর্তার কাছ থেকে এক্সিট পারমিট নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই অনুমতিপত্র ছাড়া কোনো প্রবাসী কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন না।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এই এক্সিট পারমিটে কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য, ভ্রমণের তারিখ এবং ব্যবহৃত পরিবহনের ধরন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন হবে, যা প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করবে।
এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশত্যাগ নিশ্চিত করা, শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমানো এবং শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার সুরক্ষিত করা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই নতুন বিধান কুয়েতের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রবাসীদের মধ্যে এই নতুন আইন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, “যারা কুয়েতে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের জন্য এই আইনটি খুবই ভালো হয়েছে। কারণ এর ফলে প্রতিষ্ঠানের কর্মী টাকা-পয়সা বা অন্য কিছু চুরি করে নিজ দেশে ফিরতে পারবে না।”
তবে কিছু প্রবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, “অনেক সময় মালিকরা দেশে অবস্থান করেন না। তখন জরুরি ভিত্তিতে দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।” তাই প্রবাসীরা দাবি জানিয়েছেন, আইনটি এমনভাবে প্রয়োগ করা উচিত যাতে শ্রমিকদের সুবিধা হয় এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা সৃষ্টি না হয়।