কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক) নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে কুসিক এ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে একটি "এনফোর্সমেন্ট" অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী।
এদিকে, দুদুকের অভিযানের খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষের সামনে হাজির হলে কক্ষের দরজার বন্ধ দেওয়া হয়। পরে প্রায় ৪০মিনিট পর গণমাধ্যম কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুল আলম।
এ বিষয়ে কুমিল্লা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী অভিযানের সাংবাদিকদের জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা কার্যালয় নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত দল তথ্য অনুসন্ধানে এসেছি।
আমরা ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের কাগজপত্রগুলো চেয়েছি এবং সেগুলো পর্যালোচনা করছি।
তিনি আরও জানান, ২২-২৩ অর্থবছরে সাইফুল ইসলাম ১০ টির মত টেন্ডার পেয়েছেন। যার আনুমানিক মূল্যমান ৫৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২৩-২৪ অর্থবছরে তিনি টেন্ডার পেয়েছেন ২১টির মত অনেক ১৭২ কোটি টাকা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল তিনি কাজ নিজে না করে বা অন্যকে দিয়ে করিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন। আমরা যে আইডিগুলো পেয়েছি সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন ঢাকা অফিসে পাঠাবো। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে পরবর্তী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম সে অনুযায়ী নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়া ইজিবিতে করা হয় কোন নথি পরিবর্তন সিস্টেম নেই।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. ছামছুল আলম সাংবাদিকদের জানান, 'এন এস গ্যালারির মালিক সাইফুল ইসলামের নামে অভিযোগ ছিলো। আমাদের কাছে তথ্য চেয়েছে আমরা তথ্য দিয়েছি দুদককে।'
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC