
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বর্তমান পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ-সহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে ‘নিপীড়িত নাগরিক সমাজ’ এবং ‘কুমিল্লার ছাত্র-জনতা’।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হাসপাতালের ওষুধপত্র (এমএসআর) কেনাকাটায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইনজেকশন পেনটোথাল সোডিয়াম (১ গ্রাম পানিসহ) ৪ হাজার ভায়েল কেনা হয়েছে প্রতি ভায়েল এক হাজার ২৯৯ টাকা দরে, অথচ খুচরা বাজারে এর দাম মাত্র ১০১ টাকা। এর মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৪৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
বক্তারা জানান, সরকারি নীতিমালায় বাজার মূল্যের (এমআরপি) চেয়ে বেশি দামে ওষুধ কেনার কোনো সুযোগ নেই।
বক্তারা আরও বলেন, হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে দালালচক্র এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চললেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং, বারবার নতুন নতুন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের স্বার্থে হাসপাতালের পরিচালকসহ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান তারা।
নিপীড়িত নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এবং ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আল নাহিয়ানের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, এবি পার্টি কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক গোলাম মো. সামদানী, ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লার ডা. বশির আহমেদ, ডা. ইমরান, আফজাল হোসেন, ওমর ফারুক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য খালিদ হোসেন, আব্বাসউদ্দিন-সহ বিভিন্ন ভুক্তভোগী ও সচেতন নাগরিকেরা।