বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ-র‍্যাবের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার ২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ-র‍্যাবের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার ২৪/ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ‌মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সংঘর্ষের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‍্যাব।

সোমবার র‍্যাব-১১-এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ এবং কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে উচ্চমাধ্যমিকের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সিফাত তার বহিরাগত বন্ধুদের নিয়ে কলেজে আসে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

সংঘর্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে পিস্তল। তদন্তে জানা যায়, ভিডিওতে অস্ত্রধারী ওই তরুণটি হলেন সিফাত।

সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করে।

পুলিশ জানায়, কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে চারজন গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল হোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র‌্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় মোট ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন