বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আগামী বছর থেকে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের চেয়ারপার্সন নাফিসা কামাল। কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নাফিসা তুলে ধরেছেন বিপিএলের কয়েকটি দিক।
বিসিবির কোনো বাণ্যিজিক মডেল না থাকা, রাজস্বের আয় ভাগ না করার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।
নাফিসা কামাল বলেন, “হ্যাঁ, এটা শতভাগ সত্য। রাজস্ব ভাগাভাগি না হলে আমরা আগামী বিপিএলে থাকব না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটসের একটা অংশ চায়।”
তিনি বলেন, “আমরা কত আগে বিপিএল শুরু করেছি। অথচ এত বিশাল জনসংখ্যা নিয়েও আমরা ব্রডকাস্টিংয়ে অনেক পিছিয়ে। বিসিবি যদি আমাদের টিকিট রাইটসের ৫০ শতাংশও দেয়, তাহলে একটি টিকিটও অবিক্রীত থাকবে না। কিন্তু বিসিবি সেই রাইটস আমাদের দেয় না। মিডিয়া, গ্রাউন্ড রাইটসের বেলাতেও একই পন্থা অনুসরণ করা হচ্ছে।”
অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজিদের তুলনায় প্রতি বছর বেশি টাকা খরচ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে নাফিসা কামাল বলেন, “শুধু ভালোবাসা থেকে এটা সম্ভব নয়। এটা আপনারা সবসময় বলেন যে, ‘আউট অব লাভ’ আমরা করছি। ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা করছি কাজটুকু, অনেক বেশি পরিশ্রম করছি, চেষ্টা করছি। কিন্তু স্পন্সর তো আমাদের পেতে হয়, আর্থিক দিক ঠিক রাখতে হয়। আমাদের টাকাটা তো আনতে হবে। নিজেদের পকেট থেকে তো পুরো বিপিএল চালাতে পারব না।” এটা খুব মিথ্যা হবে যদি আমি বলি যে, আমাদের পকেট থেকে পুরো বিপিএল চালাচ্ছি। এটা সম্ভবই নয়।’
পরিকল্পনাগত ত্রুটির কথাও উল্লেখ করে নাফিসা কামাল বলেন, ‘কাগজে-কলমে যেভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চলা উচিত। সেটা আমাদের বিপিএলে প্রযোজ্য নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যেসব রাইটস পাওয়া উচিত, আমাদের সেটা পাওয়া হয় না।’
তিনি বলেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টুর্নামেন্টের বড় স্টেকহোল্ডার। অথচ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে আয়োজকরা বৈঠকের উদ্যোগ নেননি কখনো।”
নাফিসা কামাল বলেন, ‘আমি আসলে ভুলে গেছি তারা আমাদের সঙ্গে সর্বশেষ কবে বৈঠক করেছে। এই বছর তাদের বলেছিলাম একটা বৈঠকের আয়োজন করতে। যাতে সামনা-সামনি বসা যায়। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। গত বছরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৈঠক করতে চেয়েছিলাম।’