কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্বিতীয়বারের মতো ৩৯১জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ প্রদান করেছে। এছাড়াও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অর্থায়নে ওই বিভাগের ১৫ জন শিক্ষার্থীকেও এ স্কলারশীপ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটায় কুবির মুক্তমঞ্চে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাঝে আট হাজার পাঁচশত টাকার চেক তুলে দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, কুবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আওয়াল চৌধুরী, বিএনসিসি ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল ইসলাম এবং কুমিল্লার ডেপুটি কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন বলেন, সম্ভবত আমরাই প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যারা ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে তহবিল গঠন করে শিক্ষার্থীদের মেধাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গতবছর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ স্পোর্টস স্কলারশিপ চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বৃত্তির এই প্রোগ্রামটি শুধু এই বছর নয় পরবর্তীতে চালু থাকবে বলে আশা করছি।
বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অনিশা দেবনাথ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জানান, ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ প্রদান শিক্ষার্থীদের জন্যে নি:সন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং খেলাধুলা উভয় ক্ষেত্রে উদ্যমী হবে। আমিও স্কলারশিপ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। অনার্স-মাস্টার্সে প্রতিটা সেমিস্টারে ভালো ফলাফল করা খুব চ্যালেঞ্জিং। তারমাঝে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ক্লাস করতে পারিনি। বাসায় বসে এ সময়ে অনলাইন ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়েছে। তবে আজকের এই কৃতিত্বের পেছনে বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ৫৮ জন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল। এরপর একই বছরের ১৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ নামে বৃত্তি প্রদান করা হয়।