
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আযান শুনতে পাওয়া যায় না এমন অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদুৎ না থাকলে তীব্র গরমে কষ্ট করে নামাজ পড়তে হচ্ছে মুসল্লিদের। এছাড়া ফজর, মাগরিব এবং এশার নামাজ প্রায়শ অন্ধকারের মাঝেই নামাজ পড়তে হচ্ছে মুসল্লিদের।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, কেন্দ্রীয় মসজিদে জেনারেটর বা আইপিএসের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে আযানের ধ্বনি শুনতে পান না তারা। বিভিন্ন আবাসিক হলের বেশ ক’জন শিক্ষার্থী জানান, এ সমস্যার কারণে সময়মতো নামাজে উপস্থিত হতে সমস্যা হচ্ছে তাদের। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৬,২০১৯,২০২০ ও ২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার আবেদন করা হয় কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো.শওকত আলীর সাথে কথা প্রতিবেদকের। তিনি বলেন,”বিদ্যুৎ না থাকলে মুখে আজান দিতে হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কানে আজানের আওয়াজ পৌঁছায় না। এছাড়াও জেনারেটর না থাকায় তীব্র গরমের কারণে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে কষ্ট হচ্ছে ।”
গনিত বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, “আমি মসজিদের সবচেয়ে কাছাকাছি বিজয়- ২৪ হলে থাকি। যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন মসজিদের আজানের ধ্বনি শুনতে পাই না। এতে নামাজে আসতে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়া মোহাম্মদ ইমন বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের দত্ত হল থেকে আজানের ধ্বনি শোনা যায় না৷ এতে জামাতের সাথে নামাজ আদায় ব্যাহত হয়।
কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন,”অনেক দিন ধরেই আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেছি। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেটা করা যাচ্ছে না। মসজিদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো চলমান আছে। আমরা ফেব্রুয়ারিতে মেয়েদের নামাজের স্থান, কার্পেট মেশিন ও জেনারেটরের জন্য একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। জেনারেটরের বিল পাস হয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখবো। কোন বিলটা পাস হয়েছে সেটাও দেখার বিষয়। মসজিদ কমিটির কাজ হলো মসজিদের কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমরা একটি ফরওয়ার্ডিং পেপার তৈরি করি ও ইঞ্জিনিয়ার দপ্তর ও রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠাই। বাকি কাজগুলো ইঞ্জিনিয়ার দপ্তর করে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “দুই মাস আগে কেন্দ্রীয় মসজিদে জেনারেটর স্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব আসে। প্রস্তাব আসার সাথে সাথেই আমি অনুমতি দিয়েছি। কারা এগুলো আটকে রেখেছে তা বলতে পারব না। এতো দিনের মধ্যে অবশ্যই জেনারেটর স্থাপন হওয়ার কথা। আমার একার পক্ষে সব দিকে নজর রাখা কঠিন। সব জায়গায় একটা না একটা সমস্যা থেকেই যায়। আমি খবর নিবো কেন জেনারেটর স্থাপন করা হয়নি।”